somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় সামহোয়্যার ইন ফিরে যাক তার আপন মহিমায় :)

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামু - B-)

নামটি এখন আর একটি নিছক ব্লগ হিসেবেই নয়, একটা আদর্শ হয়েই সারা বিশ্বের বুকে তার জ্যোতি ছড়িয়ে দিতে সদা ব্যস্ত। যে সামুর গন্ডি ছিল এক সময় বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ, সেই সামু এখন আর তাতে সীমাবদ্ধ নেই। এক বিরাট পরিমন্ডল তৈরী করে নিয়েছে তার নিজস্ব স্বকীয়তায়, নিজস্ব গুনে। সামুর আজ দেশ ছাড়িয়ে বর্হিবিশ্বেও সুনামের সাথে যে ভাবে বিজয় পতাকা উড়িয়ে দীপ্ত বেগে এগিয়ে চলছে তার পেছনে যার মুল অবদান তিনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয়া জানা আপু। উনার সদিচ্ছা, আপ্রান চেষ্টা, একাগ্রতা তদোপরি বাংলা ভাষার প্রতি আন্তরিকতা ও ভালবাসা এবং সামুর মডারেশন প্যানেলের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং হাজারো গুনী ব্লগারদের আনন্দচিত্তে পদচারনা, সুলেখনি সেই পথটি আরো সুগম করে দিয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।:)

জানা আপুর সদিচ্ছা যদি না থাকতো তাহলে হয়তো আমরা আজ বাংলা ভাষায় সেরা প্লাটফর্মটি পেতামইনা। যেখানে বসে আমরা আমাদের মনের অনুভুতির নির্ভেজাল প্রকাশ করতে পারতাম না, আমাদের স্বপ্নগুলো ডানা বিছাতে পারতামনা, হতোনা আমাদের দুঃখগুলোর আলপনা আঁকা , পারতামনা দুঃখ শোকের সহানুভুতির প্রকাশ।

ব্লগাররা হচ্ছে ব্লগের এক একটা প্রাণ। এক একটি প্রাণের চিন্তা শৈলী, ভাবনা, প্রতিভার বিকাশ ঘটে তারই রচিত গল্প, কাব্যে, প্রবন্ধে । সামুর সাথে পরিচয় না হলে পেতামই না আমাদের দেশের আনাচে কানাছে গ্রামে গঞ্জে লুকায়িত সব প্রতিভার খোঁজ। এমন সব কবিযে আমার দেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে, এমন সব রম্যকার যে গ্রামে গঞ্জে চাপা পড়ে ছিল, এমন সব প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তা জানাই হতোনা সামু না হলে।

সামুর লক্ষ প্রাণের বিচরনে মুখরিত সেই সামুকে অদৃশ্য এক হায়েনার আক্রমনে নুয়ে পড়তে দেখে সত্যিই আমি বিচলিত। সামুর হাসি খুশি দিনগুলো হারাতে চাইনা বলেই এ পোষ্টের অবতারনা। সামু তার নিজস্ব স্বকীয়তায় আবারও ফিরে আসুক সেই কামনা।

সামু থেকে পরিচতি হয়ে তথাকথিত সেলিব্রেটি নামের ফেসবুক পীররা এখন আর সামুতে লিখেনা। ফেসবুকেই ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সামুর এমন দুর্দিনে সামুর সাথে না থেকে অকৃতজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রান্তে অবস্থান করতে এক্টুকুও লজ্জিত নন তারা। কিন্তু ঐ সব ফেবু পীররা যারা হাজার হাজার মুরিদ বাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই

‘ফেসবুকে যেভাবে সেলিব্রেটি ( পড়ুন ফেসবুক পীর ) হওয়ার প্রতিযোগীতা স্টার্ট হয়েছে তাতে ব্লগাররা ফেবুর দিকে বেশি ঝুকে পড়েছে।

''তবে ব্লগের মতো প্ল্যাটফর্ম ফেবু হতে পারবেনা। এটাই সত্য । ফেসবুক পীররা যদি শিল্পী হয় তবে সামু হল সুরকার। একজন সুরকার লক্ষ লক্ষ সঙ্গীত শিল্পীর জন্ম দিতে পারে কিন্তু একজন সঙ্গীত শিল্পি কখনোই সুরকার জন্ম দিতে পারেনা।


তারপরও সামুর কিছু কিছু কারণে অনেকেই সামু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সেই সব পেছনের কারণগুলো কিছুটা খুজে বের করার ক্ষুদ্র চেষ্টা করলাম।

>:
মডারেশন প্যানেল আজ প্রশ্নবিদ্ধ কিছু কিছু আশাতীত, অনাহুত কারণে। নিরপেক্ষতার ছাপ হয়তো রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ, পক্ষপাতীত্ব, দলীয় সাপোর্ট, ভিন্ন পাত্রে ভিন্ন নীতির প্রয়োগের কারণে আজ অনেকেই মডারেশনের প্রতি মনক্ষুন্ন। মডারেশনের অবহেলার কারণে যেমন দাড়িপাল্লার মত ব্লগারদের পোষ্টও দীর্ঘ সময় রয়ে যায়, আবার অনেক সামান্য ভুলের কারণে অনেক ভাল নিককেও জেনারেল বা ব্যান ও করা হয় অকারণে অনেক সময়।

>:
বাক স্বাধীনতা সবারই অধিকার। সেই অধিকার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, তার সীমা অতিক্রমন করলে সেটা আর বাকস্বাধীনতা থাকেনা। বাকস্বাধীনতার বুলি উড়িয়ে আপনি যত্রতত্র, যার তার যে কোন মৌলিক বিষয় নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করতে পারেন্না। প্রগতিশীল বা মুক্তমনা ও নাস্তিকতার নামে যেভাবে ইসলাম ধর্ম সহ বিভিন্ন ধর্মকে ব্যঙ্গ, কুরুচিপূর্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়/ বা হয়েছে তার প্রতি আমাদের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। ধর্ম মানা না মানা একান্তই আপনার ব্যাপার, তবে সেটা কটাক্ষ করা, অহেতুক অপমান করা, এটা আপনার অধিকারে পড়েনা। এসব ব্যাপারে সামুর আরেকটু মনযোগী হলেই সামুর আজ যেটুক বদনামের স্বীকার তা হয়ত হতোনা। এসব ব্যাপারে মডারেশন সামনের দিনে কোন প্রকর উদাসীনতা, অলস্যামী, বেখেয়ালী, অবহেলার মনোভান পরিহার করে সামুকে একটা পরিচ্ছন্ন স্থান হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা করবে।

>:
ট্যাগিংটা এখন একটা মহামারিতে রুপান্তিরত হয়েছে। যাকেই ভাল লাগবেনা তাকেই যে কোন একটা পছন্দ সই ট্যাগ লাগিয়ে দিলাম, আদৌ সেই ট্যাগটি তার বিরুদ্ধে যথাযত কিনা তাও ভেবে দেখিনা। এর ফলে মতের অমিলের কারণে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণে, দলীয় বিভেদের কারণে, বন্ধুত্বে ফাটল ধরার কারণে একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা পরায়ন, হীনমন্নতার বসবর্তী হয়ে ট্রাগিং এর মত ঘৃন্য চর্চা করা হচ্ছে হরহামেশাই। ইসলামের পক্ষে কিছু কথা বলেছেনতো মৌলবাদী, ছাগুদের বিরুদ্ধে বলছেন তো ভাদা / নাস্তিকত, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বলছেন তো রাজাকার। এসব ট্যাগ বাজ ও গালিবাজদের চিরতরে ব্যান করে দেয়াই উত্তম সামুর সুস্থ পরিবেশ রক্ষার্থে।

>:
অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি/ সবাই দেখে আসছে যে, সামুর বিভিন্ন রকম টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা মোকাবেলা করেই ব্লগাররা ব্লগিং করে যাচ্ছেন কেবল সামুর প্রতি আন্তরিক বলেই। সামুর আপগ্রেডেশনের কাজের পর যদিও আমরা সামুর নতুন রুপ, কিছুটা ভিন্নতা দেখতে পাই, তারপরও কিছু কিছু সমস্যা এখনো রয়েই গেছে। তার মধ্যে লগইন সমস্যাটা বিকট। সাথে রয়েছে পোষ্টে বা কমেন্ট ছবি যুক্ত করনে বিরুক্তকর সমস্যাগুলো। এসবের মধ্য দিয়েও সামুর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার দরুন ব্লগাররা ব্লগিং করেই যাচ্ছেন দিনের পর দিন। এসব ব্যাপারে সামুর সুদৃষ্টি কামনা করছি, তাহলে ব্লগাররা ব্লগিংয়ে স্বচ্ছন্দ পাবেন, সামু হয়ে উঠবে আরো মনোরম, জমজমাট।

>:
নির্বাচিত পাতা নিয়ে সেই শুরু থেকেই এক এক জনের ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ। অবশ্য সেই সব অভিযোগ এবং ক্ষোভের কারণগুলো কিছুটা হলেও সত্যতা দেখা যায় অনেকটা সময় নির্বাচকদের খামখেয়ালী, নিরপেক্ষতা, দক্ষতার অভাবে।পছন্দের ব্লগার, দলীয় সমর্থকদের সুযোগ প্রদান, অপছন্দের ব্লগারদের পোষ্ট বাদ দেয়া ভাল হওয়া সত্বেও, এসব নিরপেক্ষতার স্বচ্চতা প্রদান করেনা। তাই এসব ব্যাপারে আরেকটু সুদৃস্টি দিলেই ব্লগাররা যেমন স্বাচ্ছন্দচিত্তে ব্লগিং করতে আগ্রহী হবে, ঠিক তেমনি ব্লগ ফিরে পাবে তার গনতান্ত্রিক পূর্ন পরিবেশ।

>:
অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্যাচালের দরুন বা আস্তিক নাস্তিক দ্ধন্ধের কারণে অনেক ভাল ভাল ব্লগারদের নিক ব্যান করে রাখা হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এ ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় তাদের আনব্যান করে একটা সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

>:
জানা আপুর একটা কমেন্ট অনেক্কেই আন্দোলিত করে যেমন, ঠিক তেমনি আগামীতে আরো ভাল লিখতে উৎসাহও জাগায় মনে। এজন্য জানা আপুর ব্যস্ততা ও সময় স্বল্পতার ভিতরও যদি সময় সুযোগ করে নতুন ব্লগারদের ভাল ভাল পোষ্ট গিয়ে অন্তত হাই হ্যালো টাইপ কমেন্ট হলেও দেন তাহলে ব্লগাররা উৎসাহ বোধ করবেন।

>:
রাজনৈতিক ক্যাচালের কারণেই হোক বা আস্তিক নাস্তিক গোলযোগের কারণেই হোক, সামুর ভিতরকার ঝগড়া সামুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। রাজাকার ইস্যু দেখিয়ে হোক বা নাস্তিকতার ইস্যু দেখিয়েই হোক সামুর বাইরে গিয়ে যারাই সামুর বিরুদ্ধে বদনাম, কুৎসা রটনাতে ব্যস্ত তাদের অসল নিক মাল্টি সহ চিরতরে ব্যান করে দেয়াই উচিত বলে মনে করি।

>:
প্রতিটি ব্লগারই দেশের নাগরীক, দেশের নাগরীক বলতেই যে কোন একটি দলেন প্রতি সমর্থন থাকবেই। প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি সম্মান প্রদর্শর পূর্বক যুক্তিযুক্ত মতামতের ভিত্তিতেই সহাবস্থানের সুযোগ করে দেয়া উচিত। এতে সামু হয়ে উঠবে একটি গনতান্ত্রিক প্লাটফর্ম হিসেবে ।


সামুর সেই আগের রুপ, সৌন্দর্য্য, ঝমকালো পরিবেশ, সকলের হাসি খুশি মজার সেই দিনগুলি আর নেই এটা অনেকেরই মনের কথা, আক্ষেপের কথা, ক্ষোভের কথা। সামুর সেই হারিয়ে যাওয়া আনন্দঘন পরিবেশটাকে আবারো কি করে ফিরিয়ে আনা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে কয়েক জন বিজ্ঞ, সিনিয়র এবং বর্তমান ব্লগারদের সাথে কথা বলে দেখেছি।আসুন দেখে নেই উনাদের সুচিন্তিত মতামত গুলো ।


সুরঞ্জনা

সামুর জন্মলগ্ন থেকেই সামুতে বিচরন। প্রথমে পাঠক ও প্রায় বছর দুয়েক পরে ব্লগার হিসেবে সামু পরিবারে অংশ গ্রহন। তখন সামু একটি বিশাল একান্নবর্তী পরিবারের মতই ছিলো। আনন্দ, বেদনা, মান-অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি সবই হতো। কিন্তু আবার সবাই সব তিক্ততা ভুলে একে অপরের পোস্টে মন্তব্য করা, খুনসুটি দুষ্টুমি সবই হতো।

কিছু কিছু পোস্ট যে বিতর্কিত হতোনা তা নয়, হতো। কিন্তু অশ্লিল গালি-গালাজ বা ব্যাক্তি আক্রমন তেমন চোখে পড়েনি। তখন ব্লগাররা নতুন ব্লগারদের প্রতি অনেক নমনীয়, সহানুভুতিশীল ছিলেন। তাদের ভুল, ভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়ে পরামর্শ দিতেন। ব্লগার ভাঙ্গন আমাকে পোস্টের ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছিলো। পোস্টে ছবি দেয়ার ব্যাপারে আমি ও ব্লগার জুনকে সাহায্য করেছে ব্লগার কাব্য, শায়মা, দুরন্ত স্বপ্নচারী। এই ছবি দেয়া শেখানো নিয়েও কত যে মজা আমরা করেছি।

এখন সামুতে পরিচিত ছাড়া নতুন কারো পোস্টে কমেন্ট করতে ভয় করে। কি জানি! কেমন উত্তর পাবো। আমার মনে হয় সামুর সেই নির্মল, সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মডারেটরদের অনেক শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। চতুরমাত্রিক ব্লগে দেখেছি বিতর্কিত, বা গালিগালাজ করলে তাকে ব্যান করা হয়। সামুর অভিবাবকরাও যদি এমন ভুমিকা পালন করেন তবে আমি মনে করি সামু তার হৃত গৌ্রব, সুনাম ফিরে পাবে। আমরাও ফিরে পাবো আমাদের সেই অতি প্রিয় পরিবারকে। একটি পরিবারকে সুন্দর করতে যেমন অভিবাবকের পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যের সহযোগিতা প্রয়োজন তেমনি সামুকে আগের পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে সকল ব্লগারদেরও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত .


জুল ভার্ন

সামহোয়্যারইন ব্লগের শুরু থেকেই পাঠক হিসেবে আমি যুক্ত। কিছু অপেশাদার লেখক ব্লগারদের অসাধারন সুন্দর সৃজনশীল পোস্ট আর মন্তব্য পড়ে আমি নিজেও পাঁচ বছর পূর্বে নিক রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম। আমি এমনই সামু ভক্ত হয়ে যাই-অফিসের গুরুত্বপুর্ণ কাজ এবং শত ব্যস্ততার মাঝেও সব সময় ব্রাউজারের একটি ট্যাবে সামু ওপেন থাকত। আমি ভালো লেখক নই-কিন্তু ভালো লেখার পাঠক হিসেবে বড়াই করতেই পারি। সামহোয়্যারইনে এটুকুই আমার যোগ্যতা। লেখক না হয়েও আমি তথ্য ভিত্তিক তিনশতাধিক পোস্ট লিখেছিলাম।

আমি বিশ্বাস করি-সামুর জন্ম হয়েছিল জানা-আরিল দম্পতির অনেক আশা আর সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে। সামহোয়্যারইন ব্লগ দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল শিক্ষিত বাংলাদেশীদের একসুতোয় বেঁধেছিল অনেক ভালোবাসা, মমতা আর সুন্দরের প্রত্যয় নিয়ে। অনেক ব্লগারদেরমতই সামুকে আমিও খুব বেশী ভালোবাসি-তাই সামুর সকল ভালোতে যেমন আমি উজ্জীবিত হতাম তেমনি সামুর বর্তমান সকল মন্দ বিষয়ে, সামুর অবক্ষয় আমাকে কস্ট দেয়। চোখের সামনে একটা সুন্দরের ধংশে আমি কস্ট পাচ্ছি। তাই নিতান্তই নিরুপায় হয়ে আজ আমি আমার আমার মর্ম বেদনা এবং উপলব্ধির কিছু কথা লিখতে চেষ্টা করব। এই লেখাটা অনেকেরই ভাল লাগবে না এবং আমি নিশ্চিত এই লেখার জন্য মডারেটরের সাথে কতিপয় ব্লগারদেরও কোপানলে পড়বো। কিন্তু কারও না কারো এই কথাগুলো বলা দরকার ছিল। আমি মডারেটর সহ কতিপয় ব্লগারদের নিন্দা ক্ষোভ মাথা পেতে নেবার জন্যে প্রস্তুত।
আগেই বলেছি-আমি সামহোয়্যারইনের একজন নগণ্য ব্লগার। নিজেকে এই ব্লগের ভালো ভালো লেখক গোষ্ঠির লেখার একজন পাঠক ভাবতে খুব ভালবাসি। আরো বেশি ভালবাসি সামুকে নিজের বর্ধিত পরিবার ভাবতে।
সংখ্যা গুনে গুনে অনেক উদাহরণ হয়ত আমি দিতে পারি। এর কিছু কিছু উদাহরণে আছি আমরা সবাই-কাজেই কাউকে আলাদা করে কিছু বলতে চাইনা। যেহেতু আমরা সবাই কম বেশী ভুল করি-কেউ ভুল করি পরিকল্পিত ভাবে, কেউবা ভুল করি নাবুঝে কিম্বা ভুল করার পর বুঝি-আমি ভুল করেছি! আমরা কেউ ভুল থেকে নিজেকে শুধরিয়ে নেই, কেউ কর্তৃপক্ষের আসকারা পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে গোত্রীয় আক্রমনে ছিন্নভিন্ন করে দেই ভিন্ন মতাবলম্বীকে! এদেরমধ্যে শেষোক্ত শ্রেনীই বর্তমানে সামু নিয়ন্ত্রণ করছে-যার কারনে সামু এখন লজ্জা, ঘৃণার আর অশ্লীলতার একটি ভার্চুয়াল প্লাটফরম!

সত্যিকথা বলতে কি-আমার সব সময়ই মনে হয়নি সামহোয়্যারইন নিরীহ ভালো লেখক ব্লগারদের প্রতি সহনশীল যতটা সহনশীল ধর্ম বিদ্বেষী(স্পেশালী ইসলাম ধর্ম, মহানবী এবং পবিত্র কোরআন বিরোধী)ব্লগারদের ব্যাপারে। কার্যক্রমে বোঝা যায় এই ব্লগটা নির্দিষ্ট শ্রেনীর চিন্তাচেতনার ধারক,বাহক ও প্রকাশক। তবে এখানে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে আরো একটা বিষয়ের উপর ভীষন জোর দেয়া হয়-সেটা হল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এই জিনিসটা আমি নিজেও খুব এপ্রিসিয়েট করতাম। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীতাকারীদের বিরোধিতার নামে আমরা মুলত ইসলাম ধর্ম, কোরআন, আর মহানবী(সঃ)কেই অশ্লীলতায় জর্জরিত করছি! জাতীয়তাবাদী চেতনার ব্লগারদের দূরাবস্থার কথা নাই বলি! ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্যান্য সব ধর্ম সামুতে জায়েজ, মুসলমানদের কোরআন শরীফ ভিন্ন অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থ সহ সব কিছুই সামুতে জায়েজ! কতিপয় ব্লগার রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধীদের সামনে রেখে-ইসলাম ধর্ম, মুসলমান, পবিত্র কোরআনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, অবমাননা করেই যাচ্ছে-সেখানে মডারেটর নির্বিকার!

আমরা খুব অস্বস্তির সাথে খেয়াল করছি যে সামুতে আমাদের স্বদেশপ্রেমটা ধীরে ধীরে উগ্র স্বদেশ প্রেমের দিকে মোড় নিচ্ছে। যে কোন কিছুর উগ্রতাই পরিত্যাজ্য। সেটা ধর্মের ক্ষেত্রে হোক কী স্বদেশের ক্ষেত্রে। আমার মনে হচ্ছে সামুর পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা নিজেদের এক ধরনের অসুস্থ "পজিটিভ ফিডব্যাক" দিচ্ছি। সামুর একশ্রেনীর ব্লগার যারা/যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাই থাকুক-হঠাৎ তারা দেশপ্রেমের একচ্ছত্র খেদমতগার ভেবে এমন আচরন করে যাচ্ছেন সেই আচরনে সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যাসিস্ট ইতালী বা নাৎসী জার্মানী, দখলদার ইজরাইলী, আগ্রাসী ভারত, আমেরিকার এমনকি ৭১ এর হানাদার পাকিস্তানী সেনাদের মানষিকতার বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে! লজ্জার বিষয় হলেও সত্য সামু মডারেটর ঐ শ্রেনীর ১০/১২ জন স্যাংগাত ব্লগারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।

সামু মডারেটরের অনুগ্রহভাজন ব্লগারদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে উলটা অভিযোগকারীর শাস্তি হয়! একজন ধীবর কিম্বা জুল ভার্নের নাম নিয়ে গালাগালি ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে পোস্ট দিলে আসিফ মহিউদ্দিন গং দের শাস্তি হয়না কিন্তু ধীবরের কমেন্টস ব্যন হয় ১৮ মাসের জন্য। একই অপরাধে কারোর কমেন্টস ব্যান তুলে নেয়া হয়-কিন্তু ধীবরের শাস্তি বহাল থাকে! সামুর সব থেকে ঘৃনিত গালিবাজদের শাস্তি হয়না-কিন্তু সেই গালিবাজ গংদের গালাগালির প্রতিবাদে গালি দিলেই সেই ব্লগারদের শাস্তি হয়! কতিপয় অর্ধ শিক্ষিত ব্লগারের গ্রুপিং এর শিকার হয়ে অসংখ্য নীরিহ ব্লগার শাস্তি পায়-কিন্তু গালিবাজ ব্লগাররা ধরা ছোঁয়ার উর্ধে থেকে যায়! সামুর দর্শনে এইটা ধার্য্য করে দেয়া হয়েছে-যে আপনি যদি সামু মডারেটরের পৃষ্ঠপোষক অশ্লীল, গালিবাজ ব্লগারদের আগ্রাসী রীতিতে স্বদেশপ্রেমী, কোরান বিদ্বেসী না হোন তাহলে আপনি অবধারিত ভাবেই একটা ছাগু! আমাদের দেশ, মানুষের সুন্দরের জন্য, ভালোর জন্যে কী করা যায়, সেসব ভাবনা কারোর নেই। কিন্তু কাল্পনিক ছাগুনিধন আর বরাহ শিকারের যুদ্ধংদেহী রণহুংকার থেকে থেকে সামু প্রাঙ্গনকে প্রকম্পিত করতে পিছিয়ে নেই।

সামুতে যথেষ্ট কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। মাঝখানে সামুর শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি হয়েছে, ব্লগারের সংখ্যা বেড়েছে-যা সামু কর্তিপক্ষকে আরো বেশী অহংকারী এবং আগ্রাসী করে তুলেছে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম এক ধরনের বালখিল্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে গোটা জিনিসটা নিয়ে-যেখানে সামু মডারেটর উস্কানী এবং মডারেশন প্যাণেল নামে ফ্যাসিস্ট আগ্রাসীদের পক্ষাবলম্বন করে পরিস্থিতি আরো বেশী উত্তপ্ত করে দেয়, যা অগ্নিতে ঘৃতাহুতিসম। সামু ব্লগের পরিধি বেড়েছে এবং বেড়েছে সামুতে অশ্লীলতা, অসভ্যতা, ইতরামী আর নোংরামী-শুধু বাড়েনি সামুর পোস্ট/লেখার গুণগত মান।

দিনের পর দিন সামুর পরিবেশ হয়েছে বৈরী। এখানে এখন কিছু প্রচলিত গালির মাঝে সম্প্রতি গুঁতোগুঁতির শীর্ষে রয়েছে "ছাগু" আর "সুশীল" শব্দ দুটি। আমার অবজারভেশান হল, আপনি সামু ও গালিবাজদে(সামুর সাথে গালিবাজদের এক করে ভুল করিনি-যেনে বুঝেই করেছি) রীতি মাফিক কথা না বললেই আপনি "ছাগু" আর ওদের সাথে সুর মেলালেই "সুশীল" হয়ে যাবেন! বর্তমানে সামুকে বলা যায় ফ্যাসিস্টদের চারণভূমি, নব্য চেতনায় অতিউজ্জিবীত যশোপ্রার্থীদের প্রজননভূমি। এই শ্রেনীর ব্লগারদের কু-কীর্তি নিয়ে কিছু বললেই তাকে গো আযম, নিজামীদের সাথে তুলনা করা হয়। সামুতে কাউকে তাড়াতে সিন্ডিকেট করে আন্দোলন করা হয়-কিন্তু যারা সিন্ডিকেট করে কাউকে তাড়ায় তাদের থেকে ভন্ড সামুতে দ্বিতীয় কোনো সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট নেই।

আমি কখনোই ভাবিনি আমাকে এইরকম একটা লেখা লিখতে হবে। আমি নিশ্চিত এই লেখা দিয়ে আমি নিজেকে সামুর বড় শত্রুদের একজনে পরিনত করলাম।

ব্লগার/পাঠক বন্ধুরা সব কিছুর পরও একবার শুধু নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখেন-সামু যে সংস্কৃতি চালু করতে চাচ্ছে,সামুর ব্লগার হিসেবে যে সংস্কৃতি আমরা লালন করছি তা ব্যাক্তি, সমাজ, রাস্ট্রের জন্য কতটুকু কল্যাণকর?
ভালো থেকো প্রিয় সামহোয়্যারইনব্লগ। ভালো থাকুন প্রিয় ভালো লেখক-পাঠক ব্লগার বন্ধুরা।

রেজোওয়ানা

সামহোয়্যার ইন একটা পোস্ট মডারেটেড ব্লগ এবং মানব স্বত্বা দ্বারা মডারেশন পরিচালিত হয়! এখন মানুষ মাত্রই কিছু মাত্রায় হলেও বিভিন্ন প্রপঞ্চে প্রভাবিত হত পারে, সেক্ষেত্র আসলে একদম পরিপূর্ন নিরপেক্ষতা ততদিন আশা করা যাবে না যতদিন সেটা কোন 'মানুষ' দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে হয়তো একাধিক মডারেটর থাকে ত্রুটি অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বা ব্লগারদের সন্তুষ্টি কিছুটা আসবে......তবে এক্ষেত্রেও ব্লগ কতৃপক্ষ তাদের সীমাবদ্ধতার কথা বরাবরই বলে এসছেন।
আরও একটা বিষয় আছে আমার কাছে যেটা নিরপেক্ষ মনে হবে অন্যের কাছে সেটা নিরপেক্ষ নাও মনে হতে পারে, তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে সামুর মডারেশন প্যানেল ততটা পক্ষপাত মূলক মনে হয় না! কারণ আমি এই চার বছরে যেটা দেখেছি আয়ামী পন্থী ব্লগাররা বলেন সামু বিএনপি-জামাত প্রমোট করে, জাতীয়তাবাদী ব্লগারগন বলে সামু আসলে আয়ামী পন্থী ব্লগ, নাস্তিক এবং মুক্তমনা গোষ্ঠী বলেন সামুর 'ছাগুর খোয়ার" এবং আস্তিক গোষ্ঠী হিসেবে যারা নিজেদের পরিচয় দেন তারা 'সামু নাস্তিকতা প্রমোটকারী ব্লগ হিসেবে এর মালিক এবং সংশ্লিষ্টদের চৌদ্দগুষ্ট উদ্ধার করেন" ..... যখন সকল দলই তাদের 'স্বার্থ' উদ্ধারে বাধা গ্রস্ত হবে তখনই সমালোচনা করে থাকে।
ট্যাগবাজ ও গালিবাজদের কটোর হস্তে দমন করতে হবে।
পরিচ্ছন্ন ব্লগ চালাড তে গেলে এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স ছাড়া কোন গত্যান্তর নেই।
মডারেশনকে গঠন মুলক সমালোচনা সহ্য করতে হবে
অবশ্যই এবং সেই সাথে ব্লগারদেরও গঠনমূলক সমালোচনায় অভ্যস্ত হতে হবে।
তবে এই পর্যন্ত জানা বা শরৎ কে যে পরিমান গালি (সেটা সেইফ হওয়াম পোস্ট মোছা, নিক ব্যান থেকে শুরু করে নির্বাচিত পাতায় পোস্ট কেন যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি ইস্যুতে) দেয়া হয়েছে এবং তারা সেটা হজম করছেন....আমি হলে অনেক আগেই ব্লগ বন্ধ করে দিয়ে শান্তিতে জীবন যাপন করতাম!
আর মডারেশন প্যানেল নিয়ে আমার কিছু ফিডব্যাক আছে, যেমন আমরা টেকলিক্যাল সমস্যা জানিয়ে যখন কোন মেইল করি, সেটার কোন রিপ্লাই আসে না! সমস্যা সমাধান হোক আর না হোক রিপ্লাইটা আমরা আশা করি।
নিক সেইফের বিষয়টাও। যেহেতু ব্লগ রেজির পর লেখা থাকে সাত দিন পর্যবেক্ষনের পর প্রথম পাতায় এক্সেস হবে সবাই সেটাকেই স্বাভাবিক ভাবে নিয়ম মেনে সাত দিন অপেক্ষা করে যে সময়টা মাঝে মাঝে কয়েক মাস পেরিয়ে যায়! এসকল ক্ষেত্রে কি সমস্যার কারণে তার সেইফ হতে সময় লাগছে সেটা মেইলের মাধ্যমে ব্লগারকে জানালে এত অসন্তুষ্টি বাড়তো না!
আরেকটা বিষয় হলো নির্বাচিত পাতা। এ বিষয়ে আমার যেটা বলার আছে সেটা হলো নির্বাচকদের নির্ধারন করার আগে তাদের নিয়ে ছোট একটা ওয়ার্কশপ করুন। কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না, সেটা ছোট একটা ওয়ার্কশপের মাধ্যেমে জানিয়ে দিলে মনে হয় তাদের কাজটা করা সহজ হবে।


মিলটন

সাত বছরের অধিক সময় পথ পাড়ি দিয়ে সামহোয়ারইন ব্লগ আজ এই জায়গায়। নিশ্চই এবং নিঃসংকোচে বলা যায় এই ব্লগ বাংলাদেশের বাংলা কমিউনিটি ব্লগিং এর পথ প্রদর্শক। তবে একদিনেই আসেনি ব্লগের আজকের এই চেহারা। সময়ের প্রয়োজনেই বিভিন্ন কিছু সংযোজন, বিয়োজন করতে হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি সাহা্য্য করেছে আমাদের নতুন অনেক কিছু শিখাতে, নতুন করে কিছু ভাবতে।

সবসময়ই একটা দল সক্রিয় ছিল এই ব্লগকে অকার্যকর করার জন্য। তারা বাহিরে তো ক্ষতি করেছেই আবার ভিতরে থেকে চোরাগুপ্তা হামলাও চালিয়েছে এই ব্লগের মূলভিত্তির উপরে। আজ আমাদের অনেকের চোখেই সামহোয়ইন ব্লগ খারাপ। ভ্রু কুচকিয়ে “এখানে ব্লগিং এর পরিবেশ নেই” বলে থাকি। অনেকেই আমরা দুরে সরে গিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিই। কিন্তু কেউ ভাবি না, অনলাইনে বাংলায় মনে ভাব প্রকাশ করার সুযোগ আমাকে এই ব্লগই প্রথম করে দিয়েছে। তাই আমাদের আদি জায়গাটাকে কিভাবে আরো ফলপ্রসূ ও উপভোগ্য করে তোলা যায় সেটাও আমাদেরই ভাবতে হবে।
আমার মতে, ব্লগ আগের চেহারায় ফিরাতে হলে বেশ কয়েকটি ব্যাপারে লক্ষ রাখতে হবে আমাদের সবারই, অর্থাৎ ব্লগার, পাঠক এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষকে। অনেক গুলো বিষয় আছে, কিন্তু কিছু মৌলিক বিষয় যেমন: আগের মত মৌলিক এবং গঠনমূলক লেখা দরকার, মতের অমিল থাকতেই পারে কিন্তু একে অপরের মতের প্রতি সম্মানবোধ বজায় রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া মোডারেশন প্যানেল আরো শক্তিশালি করার সাথে সাথে সকলপ্রকার স্বজনপ্রীতির উর্দ্ধে থেকে লেখার মান যাচাই পূর্বক লেখককে ব্লগিং করার ব্যাপারটা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বর মধ্যে পড়ে। লেখার পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব কিন্তু ব্লগার ও কর্তৃপক্ষের উভয়েরই আছে। দুপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা ব্লগাররা আছি। সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। হ্যাঁ, এগিয়ে যাবো নিশ্চই।
=============


তন্ময় ফেরদৌস

আসলে এই ব্যাপারে বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়।
ফেসবুক এবং ব্লগের কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। ব্লগিং ব্যাপারটা অনেক বিগার পার্স্পেক্টিভে হয় সাধারনত। এখানে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ থাকে, ডিটেইলিং থাকে। কিন্ত ফেসবুক হচ্ছে ছোট ছোট ভাবনার শেয়ারিং। কাজেই ব্লগারদের ফেসবুক আর ব্লগের পার্থক্যটা বুঝতে হবে সবার আগে। বিষয়ভিত্তিক ব্লগিং করা যেতে পারে। কেমন আছেন, ভালো আছি, আগে প্লাস দিলাম, কপি পেস্ট, দাম কত, অনলাইন আয় টাইপের ব্যাপার এভয়েড করা উচিত ব্লগারদের। অন্য ব্লগাররাও এই ধরনের পোস্ট নিরুৎসাহিত করতে পারেন।
সামু তার প্রিন্সিপালে স্ট্রিক্ট হয়া উচিত। যাতে কারো কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকে। কিছু ব্রান্ডিং এর দিকে যেতে পারে। সেলিব্রেটিদের দিয়ে পেইড ব্লগিং করাতে পারে। যেমন জাফর ইকবাল স্যার, আহসান হাবিব, আবুল মকসুদ, আনিসুল হক, ইত্যাদি ইত্যাদি। সিন্ডিকেটিং কে একেবারেই নিরুৎসাহিত করতে হবে, এতে করে প্রোডাক্টিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। পুরাতন ব্লগারদের সাথে যোগাজোগ করে আবার ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করা যায়, তাছাড়া যারা অলরেডি আছেন, তারা নতুনদের ভালো ভালো লেখাগুলোকে উৎসাহিত করতে পারেন।
মডারেশনের বাক স্বাধীমতা ও বাক দায়িত্বশীলতা দুই ব্যাপারেই খেয়াল রাখা উচিত। আর এত এত ব্লগার হয়ে গেছে, আমার মনে হয় নতুন আইডি সেফ করার আগে অবশ্যই লেখার মান যাচাই করে নেয়া উচিত। মোটামুটি এই বলা যেতে পারে


আমিনুর রহমানঃ

ব্লগ এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে যেকোন মতাদর্শের মানুষ নিজের মতামতকে সকলের সামনে তুলে একটা সুষ্ঠু গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে নিজ মতামতের ভুল-ক্রটিগুলো যাচাই করে নিতে পারেন। যার ফলশ্রুতিতে নিজেকে বা নিজের মতামতকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে।
ব্লগে সাধারণত আমরা যা দেখি তাহলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সহনশীলতার অভাব। আমরা সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, ব্যক্তি আক্রমন, নাস্তিক- আস্তিক ক্যাচাল এবং ট্যাগিং এর কারনে প্রায়শই উত্তেজিত হয়ে অশালীন শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্লগিং এর সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করি। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, ব্যক্তি আক্রমন, নাস্তিক- আস্তিক ক্যাচাল এবং ট্যাগিং এর বিপক্ষে ব্লগাররাই সঠিক ভুমিকা পালন করতে পারে এবং সবসময় তারাই এই ভূমিকা পালনও করে এসেছেন। এই ধরনের নীতিমালা বহির্ভূত কাজের জন্য ব্লগ মডারেশনের উচিত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। মডারেশন প্যানেল যেকোন অবস্থায় স্বচ্ছ হতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে সেক্ষেত্রে মডারেশন প্যানেল বড় করার প্রয়োজন পড়লে তাও করতে হবে।

আমাদের ব্লগারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনায়াসেই ব্লগে এদের প্রতিহত করতে পারবো। প্রয়োজন শুধু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং খানিকটা সহনশীলতা । আমরাই সেই ব্লগার যারা দেশের যেকোন জাতীয় স্বার্থে সবকিছু ভুলে একত্রিত হয়ে নেমে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছি বহুবার। তবে কেন পারবো না আমাদের এই প্রিয় সামু ব্লগের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে একত্রিত হতে। আজকে সামান্য হলেও যে সুনাম অর্জন করেছি একজন ব্লগার হিসেবে সেটা এই সামহোয়্যার ইন ব্লগ এর কল্যানে। তাই এই ব্লগের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ ও ভালোবাসা থেকে হলেও আসুন সবাই মিলে ব্লগের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করি। । স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের এই প্ল্যাটফর্ম আরো সামু এগিয়ে যাক। অন্তরের অন্তস্থল থেকেই সেই কামনাই করি।


কাল্পনিক ভালবাসা

আমি মনে করি “জনপ্রিয়” কথাটি একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে প্রচুর সংখ্যক নতুন ব্লগার এসেছেন। আমি মনে করি তারা সামুকে এখনও জনপ্রিয় ভাবেন বলেই এখানে এসেছেন। আবার যারা দীর্ঘদিন ধরে সামুতে ব্লগিং করছেন তারা অনেকেই ঠিক নিয়মিত নন। কারন ব্লগ এবং ব্লগিং এর মুল ব্যাপারটি তা থেকে আমরা হয়ত অনেকখানিই সরে এসেছি। বর্তমান সময়ে ব্লগিং বলতে কেবলই গল্প, কবিতা, সাহিত্যকেই মানুষ বুঝছে। এটা অবশ্যই ব্লগিং এর একটা অংশ কিন্তু মুল বিষয় নয়। নাগরিক সাংবাদিকতা বা সচেতনতা সৃষ্টি বা জাতীয় প্রয়োজনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ইস্যু কিংবা ফিচার রাইটিং ইত্যাদিই কিন্তু ব্লগিং এর প্রকৃত ব্লগিং এর মধ্যে পড়ে। আপনি যখনই এই বিষয় গুলো নিয়ে লিখবেন, এখানে নানা মত এবং বিরুদ্ধমতের সৃষ্টি হবে। একটা সময়ে এখানে যৌক্তিকভাবে বিতর্ক হতো। ফলে সবাই সেখানে অংশগ্রহন করত। কিন্তু একটা পর্যায়ে ব্যাপারগুলো ব্যক্তিগত নোংরা আক্রমনে পরিনত হয়, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শন বন্ধ হয়। ফলে কিছুটা স্থবিতা চলে আসে। যাকে অনেকেই জনপ্রিয়টার ভাটা বলে উল্লেখ্য করেছেন।

এর মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা তাদের লেখনী দ্বারা আমাদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়েছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন প্রেক্ষাপট যেমন রাজনৈতিক ব্যাপারে কলহ, ব্যক্তিআক্রমন, কোন কারনে অভিমান ইত্যাদি নানাবিধ কারনে তারা চলে গিয়েছেন। যারা ভালো লিখেন, তাদের একটা দায় থাকে পাঠকের উপর। তাই এইভাবে চলে যাওয়াটা একদম উচিত নয়। তাদের ফিরিয়ে আনা গেলে ভালো হত। যে রাজনৈতিক পোষ্ট লিখতে চায়, সে লিখুক, কোন সমস্যা নেই। দেশকে প্রাধান্য দিয়ে যে কোন রাজনৈতিক লেখাই সকল মানুষ গ্রহন করবে। তাছাড়া ব্যক্তিগত আক্রমন, বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

বর্তমানে অনেকেই আছে, যারা দারুন সব ফিচার, গল্প কবিতা ইত্যাদি লিখছেন। এটা নিঃসন্দেহে দারুন একটা ব্যাপার। পাঠকপ্রিয়তা পাবার জন্য ভালো লেখার কোন বিকল্প নেই। তবে এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি শুধু মাত্র গল্প কবিতা না লিখে মাঝে মাঝে ভিন্ন বিষয় নিয়েও লেখা উচিত। এতে একঘেয়েমি কাটবে, লেখার ও পড়ার আগ্রহ বাড়বে এবং বৈচিত্রতা সৃষ্টি হবে। সহব্লগার হিসেবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা বান্ধনীয় এবং বাকস্বাধীনতার পাশাপাশি বাকদায়িত্বশীলতার ব্যাপারটিও আমাদের মাথার রাখা উচিত।
সব শেষে যা বলাতে চাই, ভালো লেখাগুলোকে নির্বাচিত পাতায় দিয়ে নির্বাচিত পাতার মান উন্নয়ন এবং ব্লগারদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে আরো আন্তরিক এবং দক্ষ হতে হবে। ভালো এবং সৃজনশীল পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় দিতে হবে। এতে একজন ব্লগার উৎসাহিত বোধ করবে।
এর বেশি এখন আর মনে পড়ছে না


ঘুড্ডির পাইলট

আগে সামুতে অনেক মজা হইতো কিন্তু এখন আগের মতো অতোটা মজা হয় না ! কারন মজার লোক গুলা বিভিন্য ব্যাস্ততায় এখন সামুতে নিয়মিত নন । এরপরও কিছু পুরানো ব্লগার এখনও আছেন , ইনারা চেষ্টা করলে নতুনদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সামুকে আবারও জমজমাট করতে পারেন । আমরা ফিরে পেতে পারি সেই নির্মল আনন্দঘন পরিবেশ । এক্ষেত্রে যদি নতুন পুরানো মিলিয়ে একটা ব্লগারস মিলনমেলা করা যেত , তাইলে ভালো হইতো । যেহেতু এখন ব্লগ ডে হয়ে গেছে আমরা আম কাডাল খাওয়া উপলক্ষ্যে একটা ব্লগার্স মিলন মেলা করতে পারি ।

এখানে মডারেটরগন বা জানাপু আমা কাঠাল এর খরচটা বহন করতে পারেন । আর পুরানোদের সাথে আলোচনা করে নতুন ব্লগার্স দের গাইড করতে সহযোগিতা করতে পারেন । আর এখন হতে জানাপু বছরে কয়েকজন ব্লগারকে একটা করে বই দিতে পারেন ব্লগারদের উতসাহ দিতে । এটা সবাইকে জানাইয়া করার দরকার নাই চুপিসারে একজন ভালো লেখককে কুড়িয়ারে পাঠাইয়া দিতে পারে


কান্ডারী অথর্ব

ফেসবুক পীর কথাটা শোনার পর হতেই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে গেল। কাণ্ডারী অথর্ব এই নিকটির জন্ম হয়েছিল সামুতে ব্লগিং করার জন্য। তারই পথ চলায় আজ এত দূর আসা। আমি কখনো এর আগে এভাবে ফেসবুক ব্যবহার করিনি। অনেকের পরামর্শে ফেসবুকে একাউন্ট খুলি। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে তত এর প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। আগে যেখানে ব্লগে সময় দেয়া হত প্রায় বারো থেকে চৌদ্দ ঘণ্টা সেখানে এখন ফেসবুকে দেই ছয় ঘণ্টা আর সামুতে দেই ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। এতে করে আমার ব্লগিং এর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ফেবু। সামুতে পোস্ট পড়ার সংখ্যা কমে গেছে, কমে গেছে নির্মল ব্লগিং এর আনন্দ। তাই আমি মনে করি যেহেতু আমার লক্ষ্যই ব্লগিং তাই আমার ফেবুতে এভাবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। তাই আবার আগের মত ব্লগে ফিরে যাওয়াই আমার জন্য ভাল বলে মনে করছি। তবে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেবু একটি ভাল মাধ্যম তথাকথিত স্ট্যাটাস দিয়ে লাইক-কমেন্ট পাওয়া এবং স্ট্যাটাস পড়ে লাইক-কমেন্ট দেয়ার চেয়ে। তাই এখন হতে শুধু মাত্র যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেবুতে হয়ত অল্প কিছুক্ষন সময় দেয়া হবে তবে ব্লগে আবার সেই আগের মত পূর্ণ সময় দেয়ার জন্য মনোনিবেশ করব। ধন্যবাদ সবাইকে


হাসান মাহবুব

আমার কাছে ব্যাপারটা খুব সিম্পল। যারা চলে গেসে তারা সবাই এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বেড়ায় ব্লগে পোস্ট দেয়ার বদলে। বাংলাদেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হলে তবেই সবাই আবার ব্লগে ফিরবে।


মামুন রশিদ

এই ব্লগ প্লাটফর্মটা আমাদের, তাই এর ভালোমন্দ নিয়ে আমাদেরই ভাবা উচিত । তাসনুভা সাখাওয়াত বিথীকে অনেক ধন্যবাদ জরুরি বিষয়টি অবতারনা করার জন্য । ব্লগ নিয়ে আমার ভাবনাগুলো পয়েন্ট আকারে বলছি,
১ সামু এখন প্রায় সোয়া লক্ষ ব্লগারের বিশাল প্লাটফর্ম । ২৪/৭ মডারেশন এখানে সময়ের দাবি । যদিও ইদানিং মডারেশনের কঠোর হস্তক্ষেপে ব্লগে ক্যাচাল বা গালিগালাজ অনেক কমে এসেছে, তবু যেকোন সময় একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েই গেছে ।
২ ব্লগের নির্বাচনী পাতা নিয়ে বিতর্ক আর ক্ষোভ এখনো আছে । সুস্পষ্ট এবং সার্বজনীন পোস্ট নির্বাচন নীতিমালার প্রয়োজন আছে । একটা ভালো মানের পোস্ট যেন নির্বাচনী পাতায় স্থান পায়, মডারেশন বা নির্বাচকদের এটা নিশ্চিত করতে হবে । যদিও ভালো পোস্ট একটা আপেক্ষিক ব্যাপার । এক জনের কাছে যা ভালো, আরেক জনের কাছে তা ভালো নাও মনে হতে পারে ।
৩ মডারেশন দল-প্রীতি মুক্ত থাকবে । ব্লগে সকল গালিবাজি-ট্যাগবাজি কঠোর হাতে দমন করা উচিত ।
৪ একটা গতিশীল মডারেশন টীম গঠন করতে হবে, যারা সাধারন ব্লগারদের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করে কাজ করে যাবে । যারা ব্লগারদের ফিডব্যাক বুঝবে ।

সর্বোপরি একটা সুস্থ আর সুন্দর ব্লগিং পরিবেশ গড়ার জন্য মডারেশনের পাশাপাশি ব্লগারদেরও দায়িত্ব আছে । ব্লগারদের দায়িত্বশীল ব্লগিং আর মডারেশনের নিরপেক্ষতার মেল বন্ধনেই গড়ে উঠবে জমজমাট, আনন্দমুখর সামহোয়্যারইন ব্লগ ।
ধন্যবাদ ।

===========================




আমি, আপনি বা আমরা কেউ চাইলেই সামুর সৌন্দর্য্য বাড়াতে পারবা না, বা সামুর সেই পূর্বের আনন্দঘন পরিবেশটাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। তার জন্য প্রয়োজন সকলের সমন্বিত প্রয়াস।

সামুর মত একটা ব্লগের একজন নগন্য সদস্য হতে পেরে সত্যিই আমি নিজেকে গৌরাবান্বিত মনে করি, সৌভাগ্যবান মনে করি। এই সৌভাগ্যের পথটি যেন হয় সুদীর্ঘ, শান্তিময়, আনন্দময়, উজ্বলতায় ভরপুর।

আমার জীবনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটা ঘঠনা দিয়ে শেষ করসি।

কয়েক দিন আগের একটা ঘঠনা বলে পোস্ট শেষ করি যেদিন আমার জীবন প্রথম নাইট ডিউটি করার অভিজ্ঞতা অর্জন করি। মা বাবাকে ছেড়ে প্রথম বারের মত বাসার বাইরে থাকব তাও হসপিটালের মত একটা যায়গায় যেখানে প্রতিনিয়ত জীবন মৃত্যুর খেলা চলে। সে রাতে দুইটা নব জাতক মারাও গিয়েছিল আমার ওয়ার্ডে। খুব ভয় ভয় লাগতেছিল। শুধু একটাই টেনসান কোন ভুল হবেনা তো । রাত যত গভীর হচ্ছিল উত্তেজনা এবং ভয়ের পরিমান বেড়েই যাচ্ছিল। বার বার আল্লাহকে বলতেছিলাম আল্লাহ প্লিজ তাড়াতাড়ি সকাল করে দাও।

রাত একটার পর যখন পুরা শহরের সাথে সাথে ওয়ার্ডের সবাই ঘুমিয়ে সে মুহুর্তটা একটা পরিস্থিতিতে টাইম পাস করা খুব কষ্টকর হচ্ছিল । এক একটা মিনিট এক একটা বছরের মত লাগছিল।

তখন আমার এক প্রিয় সহব্লগার ফেস বুকে মেসেজ দিলেন " কেমন লাগসে নাইট ডিউটি "

আমি যখন আমার পরিস্থিতির কথা বললাম তিনি কিসের একটা টানে আমার জন্য টেনসান করতে লাগলেন । সকাল হওয়া পর্যন্ত ঘুমাননি । আমার সাথে সাথে জেগে ছিলেন সারাটি রাত। সকাল বেলা বাসায় না পৌছানোর আগেই তার মেসেজ " ঠিক মত বাসায় যেতে পারসেন ? কোন সমস্যা হয়নি তো ?"

না তার সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই , নেই কোন পারিবারিক বন্ধন । তিনি শুধুই আমার সহব্লগার।

একজন সহ ব্লগার এর প্রতি এমন দায়িত্ববোধ ও পরম মমতাময় সহানুভূতিকে আমি সারাজীবন শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করব ।

আমার সে প্রিয় ব্লগারটা নাম কুনোব্যাঙ ফেসবুকে স্কাই ওয়াকার

প্রতিটা ব্লগার এর মধ্যে এমনি মানবতার সম্পর্ক গড়ে উঠুক । আওয়ামিলীগ বি এন পি ভুলে গিয়ে আসুন আর একটি বার আমাদের প্রিয় প্লাটফর্মটাকে আবার মুখরিত করে তুলি । আড্ডা, কবিতা , সাহিত্য , গল্প ও কিউট ক্যাচালে মুখরিত করে তুলি আমাদের এই প্রান প্রিয় ব্লগটাকে ।

ধন্যবাদ সবাইকে :)
( বানান ভুল নিজ দায়িত্বে ক্ষমা করবেন )
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
৭৪টি মন্তব্য ৭১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×